Sajak Valley Travel Guide. Know All The Details Of Sajek Valley 2021।। সাজেক ভেলী ভ্রমণ গাইড ।। সাজেক ভেলীর খুটিনাটি সব জানুন ২০২১।।
☆☆ সাজেক ভেলী (Sajek Valley) ☆☆
যারা ভ্রমণপিয়াসী রয়েছে তাদের কাছে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) যথেষ্ট ভালো লাগার স্থান । অনেকদিন ধরেই যারা ভাবছেন সাজেক ভেলী (Sajek Valley) থেকে ঘুরে আসবেন, তাদের জন্য সম্পূর্ন Guideline (গাইডলাইন) থাকছে আমাদের এই আর্টিকেলে । আর যারা এখন পর্যন্ত সাজেক ভেলী (Sajek Valley) সম্পর্কে খুব একটা জানেন না, তাদের জন্য বেশ উপকারী একটি আর্টিকেল এটি । তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক :
■ সাজেক ভেলী (Sajek Valley) এর অবস্থান :
সাজেক ভেলী (Sajek Valley) বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত । যা কিনা রাঙামাটি (Rangamati) জেলার বাঘাইছড়ি (Baghaichari) উপজেলায় অবস্থিত রয়েছে । সাজেক ভেলী (Sajek Valley) এর মোট আয়তন প্রায় ৭০২ বর্গমাইল এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১৮০০ ফুট । সাজেক ভেলী (Sajek Valley) এর উত্তরে ভারতের (India) ত্রিপুরা (Tripura), দক্ষিনে রয়েছে রাঙামাটির লংগদু (Longghodu) , পূর্বে রয়েছে ভারতের মিজোরাম (Mizoram) এবং পশ্চিমে রয়েছে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা (Dighinala) ।
রাঙামাটির চেয়ে দীঘিনালা (Dighinala) থেকে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) যাতায়াত খুব সহজ । খাগড়াছড়ি জেলা থেকে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) এর দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার আর দীঘিনালা (Dighinala) থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার । সাজেক ভেলী (Sajek Valley) যেতে হলে আপনাকে খাগড়াছড়ি (Khaghrachari) থেকে দীঘিনালা আর্মি ক্যাম্প (Dighinal Army Camp) হয়ে যেতে হবে এবং এই আর্মি ক্যাম্প থেকে (অবশ্যই) আপনাকে সাজেকে প্রবেশের জন্য অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হবে ।
■ সাজেক ভেলী (Sajek Valley) যেয়ে আপনি কি কি দেখবেন ?
সাজেক ভেলী (Sajek Valley) আপনি যেকোনো সিজনেই যেতে পারেন । তার কারন সব ঋতুতেই সাজেক ভেলী (Sajek Valley) এর নতুন নতুন রুপ ও সৌন্দর্য দেখা যায় । তবে বর্ষার সিজনে অর্থাৎ বর্ষাকালে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) এর রুপ ভোলার মত নয় । মূলত সাজেক ভেলী (Sajek Valley) ভ্রমণের বড় সুবিধা হচ্ছে, যাওয়ার পথেই অনেক মনোরম দৃশ্য উপভোগ করে যেতে পারবেন । সেখানকার মূল যে আদি জনগোষ্ঠীর রয়েছে তার নাম লুসাই । যারা প্রকৃতির একবিন্দু পরিমাণ অর্থাৎ কোন প্রকার ক্ষতিসাধন না করেই বসবাস করেছে শত শত বছর ধরে । এছাড়া সেখানে পাংকুয়া এবং ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর লোকও রয়েছে । সেখানে যাদের মূল জীবিকার মাধ্যম সেখানকার বনাঞ্চলের উপর নির্ভরশীল । এসব কারণে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) এর নৈসর্গিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখনো রয়েছে অক্ষত ও তরুণ । বাঘাইহাট (Baghaihat) থেকে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) এর পথটি খুবই রোমাঞ্চকর । পাহাড়ী আঁকা-বাঁকা পথে ছুটে চলা চান্দের গাড়ীর (জীপ গাড়ি) দৃশ্য এবং স্নিগ্ধ বাতাসের সাথে প্রকৃতির নির্মল ঘ্রান আপনাকে নিয়ে যাবে অনন্য এক দুনিয়ায় । চারপাশের গাছপালা গুলো আদিবাসী শিশুদের মত করেই আপনাকে স্বাগতম জানাবে তার ডাল-পাতা নেড়ে ।
সাজেক ভেলী (Sajek Valley) শুরু হয় রুইলুইপাড়া (Ruiluipara) থেকে আর শেষ মাথায় কংলাক পাহাড়ের ( Kanglak Hill) চূড়ায় রয়েছে কংলাকপাড়া । তবে আপনার থাকা খাওয়ার জন্য রুইলুইপাড়াতেই আছে হোটেল আর রিসোর্ট ।
সাজেক ভেলী (Sajek Valley) তে পৌঁছানোর পর আপনি প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে বাধ্য । চারপাশে সবুজের কার্পেটে মোড়ানো বিশাল পাহাড়ের সারি । আর তার উপরে স্নিগ্ধ সাদা তুলোর মত মেঘমালা দেখে আপনার চক্ষুদ্বয় জুড়িয়ে যাবে । যেন আপনি আকাশের এমন এক স্তরে উঠে এসেছেন যেখানে কোন দূষণ নেই কোন কোলাহল নেই । বারবার আপনার দৃষ্টি হারিয়ে যাবে সুদূর নীলিমার পানে । অনুভূতিগুলো সব হাতছানি দিয়ে আপনার মনের অজান্তে ভেসে বেড়াবে । চারিদিকের সব কিছু থাকবে সম্পূর্ণ ক্রিষ্টাল ঝকঝকে ।
কংলাকপাড়া (Kanglakpara) থেকে খুব সহজেই ভারতের লুসাই পাহাড় (Lusai Hill) দেখা যায় । সেখান থেকেই উৎপত্তি হয়েছে কাপ্তাই নদীর । বলা হয়ে থাকে কংলাকের (Kanglak) চূড়ায় না উঠলে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) ভ্রমণই বৃথা । সেখানে প্রকৃতি তার সৌন্দর্যের আর বিশালতার এক চাদরে মুড়িয়ে রেখেছে চারিপাশে । পাহাড়চূড়া থেকে মেঘের সমুদ্র ও সবুজ পাহাড় দেখে আপনার মনে হবে আপনি দার্জিলিং চলে এসেছেন । ফিরে আসার সময় দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ, দীঘিনালা বনবিহার ও হাজাছড়া ঝর্ণা দেখে আসতে পারবেন । সেখানে শুনশান নীরবতার মধ্যে ঝিঝি পোকা আর নাম না জানা অনেক রকমের পাখির ডাকে টুপ করে নেমে আসে সন্ধ্যা । রাত নামলেই সাজেক ভেলী (Sajek Valley) এক ভিন্ন রূপে সাজে । আঁধারের অন্ধকারেও সে যেন এক মায়াবী, এক অপসরা । রুইলুইপাড়া (Ruluipara) তখন ব্যস্ত হয়ে যায় পর্যটকদের নানা ধরনের মনোরঞ্জনের আয়োজনে । কেউ Bar-B-Q, তো কেউ Bamboo Chicken, কেউ Guitar এ সূর তোলে, তো কেউ হাতে তালি আর গান দিয়েই মাতিয়ে তোলে পুরো আসর । এছাড়া কেউ কেউ দেখবেন রাতের সাজেক ভেলী (Sajek Valley) এর সৌন্দর্য উপভোগ করছে মন ভরে ।
পর্যটকরা সাজেক ভেলী (Sajek Valley) বলতে আমরা রুইলুই (Ruilui) ও কংলাক (Kanglak) পাড়াকেই বুঝে থাকি । কিন্তু এছাড়াও আরও অনেক অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে এই সাজেক ভেলী (Sajek Valley) এর চারপাশে । সাজেক ভেলী (Sajek Valley) উপত্যকার এসব অদেখা গ্রাম ছবির মতো সুন্দর । তবে আপনার প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য এসব স্থান মানুষের দৃষ্টি সীমার বাইরে রয়েছে এখনো । কে জানে হয়ত অদূর ভবিষ্যতে সেখানে ঘুরে বেড়াবে ভ্রমণপিপাশু মানুষেরা ।
ফেরার পথে হেলিপ্যাড (Halipad) দেখে আসতে পারেন আর তার সাথে ফ্রীতে পাচ্ছেন মন ভুলানো সেই সবুজঘেরা পথ । তবে এবার আপনার মনটা একটু মলিন হয়ে যেতে পারে । যেহেতু এমন একটি মনোরম জায়গা থেকে চলে যাচ্ছেন । খাগড়াছড়িতে (Khaghrachari) পৌঁছানোর পর হাতে সময় থাকলে অবশ্যই আপনি রিছাং ঝর্ণা দেখতে ভুলবেন না । সেখানে আপনি পাবেন উঁচু-নিচু সবুজ পাহাড় এবং নাম না জানা বুনোফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য । সেখান থেকে আরবারি পাহাড় (Aarbari Hill) বা আলুটিলা (Alutila) খুব বেশি দূরেও নয় । তাই সেখানেও ঘুরে আসার পরামর্শ রইল ।
■ কিভাবে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) যাবেন ?
● ঢাকা (Dhaka) থেকে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) :
ঢাকা (Dhaka) থেকে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) যাওয়ার জন্য খাগড়াছড়ি হয়ে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো । কারণ এখান থেকেই সাজেক ভেলী (Sajek Valley) তুলনামূলক খুব কাছে । তাই আপনাকে যাত্রা শুরু করতে হবে খাগড়াছড়ির (Khaghrachari) যাওয়ার বাস দিয়ে । ঢাকার আরামবাগ, কল্যাণপুর, কলাবাগান, গাবতলিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে বাস ছাড়ে । এসব বাসের মধ্যে ঈগল, শ্যামলী, হানিফ, শান্তি পরিবহন, অনন্যা ইত্যাদি খুব উল্লেখযোগ্য । এছাড়া বি.আর.টি.সি (BRTC) ও সেন্ট মার্টিন (Saint Martin) পরিবহনের এসি বাস (AC Bus) খাগড়াছড়ি যায় । নন-এসি বাসের (Non-AC Bus) ভাড়া প্রায় ৫২০ টাকা এবং এসি বাসের (AC Bus) ভাড়া প্রায় ৭০০ টাকা । তবে আপনি যদি দীঘিনালায় সরাসরি যেতে চান তবে শান্তি পরিবহনে করে যেতে পারেন । সেক্ষেত্রে আপনার ভাড়া পরবে প্রায় ৫৮০ টাকা । সাধারণত এসব বাস ঢাকা থেকে রাত ১০টায় ছেড়ে যায় এবং ভোরের দিকে খাগড়াছড়িতে পৌঁছে যায় । অধিকাংশ সময় আপনি ভ্রমন করার দিনেই Ticket Book করতে পারবেন । তবে আপনার হাতে কোন লম্বা ছুটি আছে এরকম দিনে আগে থেকেই Ticket Book করে রাখাই ভালো । পূর্বেই বলেছিলাম, খাগড়াছড়ি থেকে চান্দের গাড়িতে করে আপনাকে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) এর প্রায় ৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে । যদি আপনার ভ্রমণের দলে ১০-১৫ জন থাকে । তবে আসা-যাওয়াসহ ২ দিনের জন্য আপনার খরচ পরবে প্রায় ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা । আর আপনার দল যদি ছোট হয়, তবে চেষ্টা করবেন অন্য কোন ছোট দলের সাথে যোগ হয়ে গাড়ি ভাড়া করতে । আর আপনার ক্ষেত্রে যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে অটোরিক্সাতে (Auto Rickshaw) করে আপনি সাজেক ভেলী (Sajek Valley) তে যেতে পারবেন । যার জন্য ভাড়া পরবে প্রায় ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা । সেক্ষেত্রে গাড়ির চালককে অবশ্যই আপনি অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে বলবেন । কেননা পাহাড়ি রাস্তায় অটোরিক্সা (Auto Rickshaw) কিছুটা ঝুকিপুর্ন ।
এছাড়া আপনি চাইলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকেও সাজেক ভেলী (Sajek Valley) যেতে পারবেন । খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালাতে যাওয়ার বাস ভাড়া প্রায় ৪৫ টাকা । আর দীঘিনালা থেকেও চান্দের গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন বা পরিবহনে আপনি যেতে পারবেন সাজেক ভেলী (Sajek Valley) । তবে সেজন্য আপনার ভাড়া কিছুটা কম পরবে । আর আর্মি ক্যাম্প (Army Camp) থেকে অবশ্যই আপনাকে অনুমতি গ্রহন করতে হবে এবং মাথায় রাখতে হবে যে, ক্যাম্পের কোন ছবি তোলা যাবে না । আর ফিরে সময় সন্ধ্যার আগে আপনাকে বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্প পার হতে হবে ।
● চট্টগ্রাম (Chattagram) থেকে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) :
আপনি যদি এসি বাসে (AC Bus) যেতে চাইলে চট্টগ্রাম (Chattagram) এর কদমতলি থেকে বি.আর.টি.সি. (BRTC) এর এসি বাস সার্ভিস (AC Bus Service) রয়েছে । আর ভাড়া নিবে জনপ্রতি ২০০ টাকা । এছাড়া চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোর থেকে প্রতি ঘণ্টায় শান্তি পরিবহনের বাস ছাড়ে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে । যার ভাড়া নিবে জন প্রতি ১৯০ টাকা । আর চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি যেতে আপনার সময় লাগবে প্রায় ৪ ঘন্টা থেকে ৫ ঘণ্টা । কারণ আপনাকে অনেক পথ ঘুরে যেতে হবে । আর রাস্তাও সব জায়গায় তেমন একটা ভালো না ।
● রাঙ্গামাটি (Rangamati) থেকে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) :
রাঙ্গামাটি (Rangamati) থেকে যাওয়ার একটি বিশেষ দিক হচ্ছে আপনি নৌ-পথ বা সড়ক-পথ উভয় পথেই এই বাঘাইছড়ি (Baghaichari) যেতে পারবেন । লঞ্চ ঘাঁট থেকে বাঘাইছড়ি (Baghaichari) পর্যন্ত জন প্রতি ভাড়া নিবে প্রায় ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা । এছাড়াও রাঙ্গামাটি (Rangamati) বাস টার্মিনাল (Bus Terminal) থেকে সকাল ৭ টা থেকে ৮ টার মধ্যে বাঘাইছড়ির উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায় । ভাড়া নিবে জন প্রতি ২০০ টাকা । বাঘাইছড়ি থেকে আপনি সরাসরি জিপ গাড়ি যাকে আঞ্চলিক ভাষায় চান্দের গাড়ি বলে । তাতে করে সরাসরি চলে আসতে পারেন সাজেক ভেলী (Sajek Valley) !
■ সাজেক ভেলী (Sajek Valley) কোথায় থাকবেন ?
বর্তমানে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) তে থাকার জন্য বা খাওয়ার জন্য আপনাকে খুব একটা কষ্ট করতে হবে না । কেননা বেসরকারি উদ্যোগে এখানে গড়ে উঠেছে অনেক মানসম্মত রিসোর্ট এবং খাওয়ার জন্য হোটেল । এছাড়া চাইলে আপনি সেনাবাহিনীর তৈরি রিসোর্টেও থাকতে পারেন । এসব রিসোর্ট গুলোতে আপনি আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করে ভাড়া করতে পারবেন । কেননা সেখানে এক রাতের জন্য মাত্র ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ভাড়ায় রুম পেয়ে যাবেন । এসব কটেজ বা রিসোর্ট থেকে আপনি সাজেক ভেলী (Sajek Valley) এর অসম্ভব সুন্দর কিছু মনোমুগ্ধকর ভিউ দেখতে পারবেন । তবে ছুটির দিন গুলোতে রিসোর্ট বা কটেজ পাওয়া বেশ দুষ্কর । তাই ১০ থেকে ১৫ দিন আগেই বুকিং দিয়ে রাখতে পারলে ভালো ।
চলুন এবার সেখানকার নাম করা কিছু কটেজের ও রিসোর্টের নাম এবং যোগাযোগ নাম্বার জেনে নেয়া যাক ।
■ সাজেক (Sajek Valley) রিসোর্টঃ
▪ (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত রিসোর্ট) :
যোগাযোগ : 01859025694, 01847070395, 01769302370
▪ রুন্ময় রিসোর্ট :
যোগাযোগঃ 0186547688
▪ মেঘপুঞ্জি :
যোগাযোগঃ 01815761065
▪ মেঘ মাচাং :
যোগাযোগঃ 01822168877
▪ জুমঘর :
যোগাযোগঃ 01884208060
▪ লুসাই কটেজ :
যোগাযোগঃ 01634198005
▪ রুইলুই পাড়া ক্লাব হাউজ :
যোগাযোগঃ 01838497612, 01872468942
■ সাজেক ভেলীতে (Sajek Valley) খাবার খরচ :
সেখানে খাবারের খরচ খাবারের প্রকারভেদে ১০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে ।
▪ ভাত, ডাল, দেশি মুরগি, সবজি – ১৮০ টাকা ।
▪ বারবিকিউ খেতে পারেন ১ পিস মুরগি – ২৬০ টাকা ।
▪ ১ পিস পরোটা – ১৫ টাকা ।
● পাহাড়ী হোটেলে বারবিকিউ :
▪ ১ পিস মুরগি – ২০০ টাকা ।
▪ ১ পিস পরোটা – ১০ টাকা ।
■ সাজেক ভেলী (Sajek Valley) ট্যুর প্ল্যান :
● প্ল্যান - ১ :
ঢাকা (Dhaka) থেকে রাতে বাসে করে খাগড়াছড়ি (Khaghrachari) চলে যান । সেখান থেকে জীপ গাড়ি বা চান্দের গাড়িতে ভাড়া করে রিসাং (Resang), আলুটিলা গুহা (Alutila) দেখা শেষ করে, দুপুরে খাগড়াছড়ির যে কোনো রেস্টুরেন্টে আপনারদের পছন্দ বা বাজেট অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়া করে ৩টার এসকোর্টে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) চলে যেতে পারবেন । সাজেক ভেলী (Sajek Valley) তে আপনার প্ল্যান অনুযায়ী সেখান থেকে ফিরে আসার দিন সকাল সাড়ে ১০ টায় এসকোর্টে রওনা দিন । ফেরার পথে হাজাছড়া ঝর্ণা ঘুড়ে খাগড়াছড়ি (Khaghrachari) বা দিঘীনালা (Dighinala) থেকে ঢাকার বাসে উঠে চলে আসুন ।
● প্ল্যান - ২ :
ঢাকা (Dhaka) থেকে রাতের বাসে করে দিঘীনালা (Dighinala) গিয়ে হাজাছড়া ঝর্ণা দেখে সকাল সাড়ে ১০ টার এসকোর্টে সাজেক ভেলী (Sajek Valley) চলে যান । সেখানে যতদিন ইচ্ছা থেকে ফিরে আসার দিন ৩ টার এসকোর্টে খাগড়াছড়ি (Khaghrachari) এসে পড়ুন । সে রাতে খাগড়াছড়ি (Khaghrachari) থেকে পরের দিন খাগড়াছড়ির (Khaghrachari) সব স্থান ঘুরে দেখে নিন । আর সেদিন ই আপনি রাতের বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করুন ।
● প্ল্যান - ৩ :
আপনাদের মধ্যে যদি কারো ট্রেকিং এর অভ্যাস বা শখ থেকে থাকে তবে দিঘীনালাতে একদিন বেশি থেকে যেয়ে সেখানকার তৈদুছড়া ঝর্ণা (Toydhuchara Hill) ঘুরে আসতে পারেন । অথবা খাগড়াছড়ির (Khaghrachari) সীমানাপাড়া দিয়েও তৈদুছড়া ঝর্ণায় (Toydhuchara Hill) যাওয়া যায় । আর সেই পথে সময়ও খুব কম লাগে । আর বাকি সব প্ল্যান-১,২ এর মতই চলবে ।
■ সাজেক ভেলী (Sajek Valley) সতর্কতা :
♡ সাজেক ভেলী (Sajek Valley) যাওয়ার পথে কখনোই শিশুদের দিকে চকলেট বা অন্য কিছু ছুড়ে মারবেন না ।
♡ সাজেক ভেলী (Sajek Valley) তে বিদ্যুৎ নেই । Solar ব্যবস্থা থাকলেও Charge হতে বেশি সময় লাগে । তাই অবশ্যই Power Bank সাথে রাখুন ।
♡ বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্পে (Baghaihat Army Camp) ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ ।
♡ সাজেক ভেলী (Sajek Valley) তে শুধুমাত্র Robi, Airtel ও Teletalk এর Network ভালো পাওয়া যায় ।
♡ আপনি যদি আদিবাসীদের ছবি তুলতে চান তবে তাদের থেকে অনুমতি নিয়ে নিন । তাদের অনুমতি ছাড়া ছবি তুলবেন না ।
♡ চাঁন্দের গাড়ির ছাঁদে যাওয়ার সময় অবশ্যই সাবধান থাকবেন । কারণ একটু অসাবধানতাও আপনার জীবনে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে ।
♡ সাজেক ভেলী (Sajek Valley) এর নানা স্থানে ময়লা ফেলার জন্য ঝুড়ি আছে । যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে সেখানে ফেলুন ।
আর্টিকেল লেখক : Rahim Badshah
♡ধন্যবাদ♡
-- নোট :--
® Rahim Badshah™
এই লেখার সমস্ত স্বত্বাধিকার © "রহিম বাদশা" এর সংরক্ষিত। এই লেখার কোন অংশই লেখকের অনুমতি ব্যতীত ফটোকপি, রেকর্ডিং, বা অন্যান্য বৈদ্যুতিক বা যান্ত্রিক পদ্ধতি সহ, কোনও আকারে বা কোনও উপায়ে পুনরুতপাদন, বিতরণ বা প্রেরণ করা যাবে না । তবে শেয়ার এবং লেখকের ক্রেডিট দেয়ার শর্তে অনুমতি দেয়া হলো।
অনুমতি অনুরোধের জন্য, লেখকের কাছে চিঠি লিখুন, নীচের ঠিকানায় -
"মেইল করুন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ করুন"
No comments